আমাদের সম্পর্কে

হোমআমাদের সম্পর্কে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশের আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ দারিদ্রতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমগ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে তাঁত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে এবং ঐতিহাসিক ভাবে তাঁত বাংলাদেশে তার প্রধান্য বিস্তারের মাধ্যমে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এই ছোট ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও , বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাতে কাপড় বুনার রীতি বাংলাদেশের আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত এলাকার তাঁতী সম্প্রদায় মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের জন্য চরম উৎকৃষ্টতা অর্জন করে। তাদের উৎপাদিত তাঁত পণ্যগুলি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল এবং সারা বিশ্বে সেগুলোর ব্যাপক চাহিদা ছিল। বাংলাদেশের তাঁত শিল্প দেশের বিকেন্দ্রীভূত তুলাভিত্তিক বস্ত্র শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাওয়ার লুম শিল্পে বিদ্যুৎচালিত মেশিন বা তাঁতের সাহায্যে কাপড় বুনানো হয় এবং বিমের সাহায্যে ওয়ার্পের সুতা এবং সরাসরি ববিনের মাধ্যমে ওফেটের সুতা চালানো হয়। দেশের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী জেলা তাঁত শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ। গ্রামীণ মানুষের জীবনে পাওয়ারলুম তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশেষ করে গ্রামীন নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশ তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে জড়িত রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলার তাঁত উদ্যোগসমূহে পরিবেশগত এবং আর্থিক স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিম্নলিখিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি

১.আধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক নকশা প্রবর্তন করে পণ্যের গুণগতমান উন্নত করে বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশগত ও ব্যবসায়িক স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা।

২.তাঁত উদ্যোগের কারণে সৃষ্ট পানি, শব্দ, ও মাটি দূষণ কমিয়ে পরিবেশগত বিপদাপন্নতা কমানো ।

৩.কর্ম এলাকায় অর্ধ স্বয়ংক্রিয় বা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় তাঁতের সম্প্রসারণ করা।/p>

৪.প্রকল্প এলাকার তাঁত উদ্যোক্তাদের তাঁত পণ্য উৎপাদনে পরিবেশ বান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করা।.

৫.প্রকল্প এলাকার তাঁত উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যকে ইকো-লেবেলিং করার জন্য সচেতন করা যাতে করে উৎপাদিত পণ্য প্রিমিয়াম মার্কেটে প্রবেশ করতে পারে এবং পণ্যের একটি সুনির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বিকশিত হয়।

৬. প্রকল্প এলাকার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কারিগরী জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।